top of page

গরু চুরি নিয়ে উত্তেজনার পর গনধোলাইয়ে তিন বাংলাদেশি চোরের মৃত্যু, আজ দেহ হস্তান্তর সীমান্তে

  • Writer: Haduk
    Haduk
  • Oct 17
  • 1 min read
ree

খোয়াই জেলার পহরমুড়া সীমান্তে আজ দুপুরে তিন বাংলাদেশি চোরের মৃতদেহ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ভারতের পক্ষে ১০৪ নং বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সহকারী কমান্ড্যান্ট কুন্দন কুমার, খোয়াই থানার ওসি কৃষ্ণ ধন সরকার, চাম্পাহাওর থানার ওসি দিলীপ কুমার দেববর্মা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৫৫ ব্যাটালিয়নের বিজিবি কোম্পানি কমান্ড্যান্ট আবুল খায়ের, চুনারুঘাট থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা।


তিনটি মৃতদেহ বিএসএফের মাধ্যমে পহরমুড়া সীমান্তের ১২ নম্বর গেট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫৫ নং ব্যাটালিয়নের বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে বিজিবি মৃতদেহগুলো চুনারুঘাট থানার ওসির কাছে হস্তান্তর করে।


উল্লেখ্য, গতকাল বিদ্যাবিল সীমান্ত এলাকায় গরু চুরিকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বাংলাদেশি চোর সীমান্ত পার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে গরু চুরি করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। সেই সংঘর্ষে ভারতীয় যুবক মিঠুন তেলেঙ্গা নিহত হন এবং অপর এক যুবক ধীরেন্দ্র তেলেঙ্গা গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা তিন বাংলাদেশি চোরকে ধরে গণধোলাই দেয়, যাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।


সূত্রের খবর, শুধু খোয়াই নয়— কৈলাসহর, সোনামুড়া, সাক্রমসহ একাধিক সীমান্ত এলাকাতেও সম্প্রতি বাংলাদেশি চোরচক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গরু চুরি থেকে শুরু করে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে চুরি-ডাকাতির ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার জেরে সীমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধমূলক কার্যকলাপও বেড়ে চলেছে বলে মনে করছে প্রশাসন।


চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং পুলিশ প্রশাসন সমন্বিত উদ্যোগে নজরদারি আরও জোরদার করেছে।

 
 
bottom of page