ত্রিপুরায় ৬০টি গ্রামীণ বাজার নির্মাণে ১৬০ কোটি টাকার অনুমোদন: রতন লাল নাথ
- Haduk
- Nov 4
- 1 min read

স্বনির্ভর কৃষিই স্বনির্ভর ত্রিপুরার মূল চাবিকাঠি: কৃষি মন্ত্রী*খাদ্যই মানুষের প্রথম প্রয়োজন, তাই কৃষির উন্নয়ন অপরিহার্য: মন্ত্রী*
: কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ আজ জানিয়েছেন যে কৃষিক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়া মানেই ত্রিপুরাকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

তিনি তুলাশিখর কৃষি উপ-বিভাগের অধীনে তুলাশিখর প্রাথমিক গ্রামীণ বাজারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ৬০টি বাজার নির্মাণে মোট ১৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন মানুষের প্রথম প্রয়োজন খাদ্য, তারপর পানীয় জল, বাসস্থান, বস্ত্র, শিক্ষা, বিদ্যুৎ এরপর আসে অন্যান্য চাহিদা। ভারতের মূল ভিত্তি কৃষি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন হলো ভারতকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের ‘শস্যভাণ্ডার’ হিসেবে গড়ে তোলা।”

তিনি জানান ভারতের সামগ্রিক উন্নয়ন কৃষির উন্নয়ন ছাড়া অসম্পূর্ণ। তাই রাজ্যকে স্বনির্ভর করতে হলে কৃষিক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন অত্যন্ত জরুরি। আমাদের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষিনির্ভর। কৃষিতে স্বনির্ভরতা মানেই রাজ্যের সামগ্রিক স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাওয়া।
মন্ত্রী জানান, কৃষকদের আয় বৃদ্ধি ও খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর নিরলসভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন রাজ্যকে স্বনির্ভর করতে কৃষি অবকাঠামো উন্নয়ন অপরিহার্য। এই লক্ষ্যেই বর্তমান সরকার রাজ্যের বিভিন্ন বাজার অবকাঠামো উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর প্রাথমিক গ্রামীণ বাজার ও কৃষি নিয়ন্ত্রিত বাজারগুলোর উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে।
মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নাবার্ড -এর RIDF প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় মোট ১৪৪টি বাজার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন ২০১৮–১৯ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত সাত বছর ছয় মাসে রাজ্যে মোট ১৪৪টি বাজার উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার মোট ব্যয় ৩০৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। অন্যদিকে, পূর্ববর্তী সরকারের সাত বছরে বাজার উন্নয়নে মাত্র ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল।





