বন্দেমাতরম সংগীত ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে একটা বিরাট শক্তির উৎস -মন্ত্রী রতন লাল নাথ
- Haduk
- Nov 7
- 1 min read

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দেমাতারাম সংগীতের ১৫০ বছর পূর্তি হল শুক্রবার ।এই উপলক্ষে সারাদেশের সাথে রাজ্যেও শুক্রবার থেকে বর্ষব্যাপী উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে ।এদিন রাজ্যে মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় মহাকরণে ।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা ।শুক্রবার মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ভিত্তিক অনুষ্ঠান ।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রতনলাল নাথ ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডক্টর বিশাল কুমার ,পশ্চিম জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল সহ অন্যান্যরা ।অনুষ্ঠানে ভারত মাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান অতিথিবৃন্দ ।পরে বন্দেমাতরম সঙ্গীতের দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শ্রবণ করেন উপস্থিত সকলে ।এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম সঙ্গীতের দেড়শ বছর পূর্ণ হয়েছে ।বন্দেমাতরম শুধুমাত্র একটি কবিতা বা গান না ।এটি এমন একটি মন্ত্র যার মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র দেশের সব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন ।এই মন্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরাট শক্তি যুগিয়ে ছিল।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য বলেন ,বন্দেমাতরম কোটিকোটি ভারতবাসীর প্রেরণা স্রোত শক্তি এবং ভারত মাতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ।১৯৫০ সালে এই বন্দেমাতরম সংগীত জাতীয় সংগীতের মর্যাদা পায়। সাংসদ আরো বলেন ,এটা একটা গান বা শ্লোগানই নয়, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে আন্দোলনের অন্যতম অস্ত্র ছিল এই বন্দেমাতরম ।এর মাধ্যমে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করাই হলো এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।
এই অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।





